কম্প্রেসারের বাইরের অংশগুলো হলো সেই অংশগুলো যা বাইরে থেকে দেখা যায় এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। নিচের চিত্রে ঘরোয়া রেফ্রিজারেটরের সাধারণ অংশগুলো দেখানো হয়েছে এবং সেগুলোর কিছু নিচে বর্ণনা করা হল: ১) ফ্রিজার কম্পার্টমেন্ট: যেসব খাবার হিমাঙ্ক তাপমাত্রায় রাখতে হয় সেগুলো ফ্রিজার কম্পার্টমেন্টে সংরক্ষণ করা হয়। এখানকার তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে, তাই পানি এবং অন্যান্য অনেক তরল এই কম্পার্টমেন্টে জমে থাকে। যদি আপনি আইসক্রিম, বরফ, খাবার ইত্যাদি ফ্রিজ কম্পার্টমেন্টে রাখতে চান, তাহলে সেগুলো ফ্রিজার কম্পার্টমেন্টে রাখতে হবে। ২) থার্মোস্ট্যাট নিয়ন্ত্রণ: থার্মোস্ট্যাট নিয়ন্ত্রণে একটি গোলাকার নব থাকে যার তাপমাত্রা স্কেল থাকে যা রেফ্রিজারেটরের ভেতরে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। প্রয়োজনীয়তা অনুসারে থার্মোস্ট্যাটের সঠিক সেটিং রেফ্রিজারেটরের বিদ্যুৎ বিল অনেক সাশ্রয় করতে সাহায্য করতে পারে। ৩) রেফ্রিজারেটর কম্পার্টমেন্ট: রেফ্রিজারেটর কম্পার্টমেন্ট হলো রেফ্রিজারেটরের সবচেয়ে বড় অংশ। এখানে শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে তাপমাত্রায় কিন্তু ঠান্ডা অবস্থায় রাখার জন্য যে সকল খাবার রাখা হয় সেগুলো রাখা হয়। রেফ্রিজারেটর কম্পার্টমেন্টকে ছোট ছোট তাক যেমন মাংস রাখার যন্ত্র এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অন্যান্য জিনিসপত্রে ভাগ করা যায়। ৪) ক্রিস্পার: রেফ্রিজারেটরের বগির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ক্রিস্পারেই বজায় থাকে। এখানে ফল, শাকসবজি ইত্যাদির মতো মাঝারি তাপমাত্রায়ও তাজা থাকা খাবার রাখা যায়। ৫) রেফ্রিজারেটরের দরজার বগি: রেফ্রিজারেটরের প্রধান দরজার বগিতে অনেক ছোট ছোট উপ-বিভাগ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি হল ডিমের বগি, মাখন, দুগ্ধজাত পণ্য ইত্যাদি। ৬) সুইচ: এটি হল ছোট বোতাম যা রেফ্রিজারেটরের ভিতরের ছোট আলোকে পরিচালনা করে। রেফ্রিজারেটরের দরজা খোলার সাথে সাথে এই সুইচটি বাল্বে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে এবং এটি চালু হয়, অন্যদিকে দরজা বন্ধ করলে বাল্বের আলো বন্ধ হয়ে যায়। এটি শুধুমাত্র প্রয়োজনের সময় অভ্যন্তরীণ বাল্ব চালু করতে সাহায্য করে।
পোস্টের সময়: নভেম্বর-২৮-২০২৩